জ্যোতিষ ও তন্ত্র যোগ
জ্যোতিষ ও তন্ত্র সম্পর্কিত সংশয় ও ভুল ধারণা গুলো নিরসন করার জন্য কিছু মডেল প্রশ্নের মাধ্যমে স্বচ্ছ ও ছোট উত্তর দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করানো হয়েছে। পাঠক গণ বিষয় গুলো চর্চা করলে নিশ্চই উপকৃত হবেন বলে আশা রাখি .
দ্বিতীয় ভগবানের সৃষ্টিকর্তা
ভাগাড় থেকে গোমাতার পঁচা মাংস খেয়ে কাক অবাধে মন্দিরের চূড়ায় বসে শক্তিরূপেণ তথা মাতৃরূপেণ দেবীর ক্রিং ক্রিং মন্ত্র জপ করে যেতে পারে কিন্তু ভাগাড় থেকে আসা মানুষ ( তথাকথিত দলিত শ্রেণী ) মন্দিরে প্রবেশ করা তো দূরের কথা মন্দিরের দেবতা দর্শন করতে পারে না।
ঈশ্বর কেন দয়ালু ?
এরকম ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাবন আমাদের সকলের মধ্যে কম বেশি আছে ,যেমন - Rapacity - লালসা , Anger -ক্রোধ , Appetite- আকাঙ্খা , Vanity -দম্ভ , Attachment-মোহ , eNvy- ঈর্ষা = RAAVAN- রাবন। তাহলে আমাদের অন্তর্গত এই ঋণাত্মক শক্তি সুযোগ পেলে অর্থাৎ ঋণাত্মক শক্তি প্রাবল্য হয়ে উঠলে সেই শক্তি একটি শয়তানের জন্মদিতে পারে আর যে ঋণাত্মক শক্তি নিয়ে আমরা চলছি তখন আমাদের কে কেউ প্রশংসা বা পূজা করলে সেই ঋণাত্মক শক্তির ও পূজা করা হয়ে যায় অলক্ষ্যে।
দেবতা না হয়ে
পৃথিবীর সব ধর্মই নাকি সত্য কিন্তু কোনো ধর্মে গাভী হলো দেবী মাতা ,আবার কোনো ধর্মে কোরবানির শিকার সেই গাভী মাতা। কোথাও নিজের মাকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে তাদের বিছানাতে কুকুর কে চুমু দিচ্ছে ,আবার কোনো কোনো সম্প্রদায় এই কুকুরের মাংস দিয়ে উৎসব পালন করছে। যেভাবেই হোক না কেন মানব জাতি তাদের নিজেদের পুষ্টি আর স্বাদ খুঁজে পেতে কুকুর বিড়াল কীট পতঙ্গ ,খাসি গরু ,শুয়োর সব ই খাচ্ছে কারণ এসব মানুষের বেঁচে থাকার আধার ,তাই এই জীব হত্যা এখন মানুষের অধিকার।
পবিত্রতা শরীরে হয়না
শরীর নিয়ত ই অপবিত্র ,কালিমা লিপ্ত সমগ্র পৃথিবী এ একটা শরীর আর সেটা ও অপবিত্র ,আর ই বাহ্যিকতা কে শুধু আপাতত পরিষ্কার করা যায়( আমাদের পাকস্থলী তে যত সময় তা সংক্রমণ না ঘটায় ততো সময় আমরা তাকে পরিষ্কার বা পবিত্র বলে মনে করি এটা মনে করা মাত্র কিন্তু অপবিত্র থেকে পবিত্র হবার কোনো উপায় নয় )
রক্ত-মাংসের ভোগ
যদি মাছ বা মাংস প্রসাদ হিসেবে দিতে পারি তাহলে তো অবাধে জীব হত্যা করে মায়ের পায়ে অর্পণ করলে ই আমি নিষ্পাপ আসামি। তাহলে ধর্ম কি হত্যা কে প্ররোচিত করতে শেখায় ? না ,মোটেই না কিছু ভন্ড ধার্মিক ধর্মের আবরণে তাদের এই পৈশাচিক বৃত্তিকে ঢাকতে চায় , দেবী দাসীর মতো কামাপ্লুত প্রথার জন্ম দেয় এই কামান্ধ ভেক ধার্মিক রা। যৌনতা কেও ধর্মের নাম করে চালানোর অনেক নিদর্শন প্রাচীন শাস্ত্র থেকে পাওয়া যায় - যা আজ ও পর্যন্ত চলমান এবং চলমান ভবিষ্যৎ হয়ে থাকবে এগুলো। যৌনতা ,নৃশংসতা ,বীভত্স্যতা , মনোবিকৃতি এগুলো প্রাচীন কাল থেকে ধর্মের মধ্যে মিশে আছে ,তবু এগুলোর বিলুপ্তি হয়নি কারণ সিংহভাগ মানুষ ই কাম-কামনা যৌনতা পছন্দ করেন ,তাই কোনো কালেই এই নিয়ে কেউ তীব্র প্রতিবাদ দেখা যায়নি।
উপাসনা নাকি উপহাস ?
এই সুযোগ নিয়ে একশ্রেণীর অহিন্দু মন্দিরের পূজ্য প্রতিমা ভেঙে ফেলার দুঃসাহস কে চাগড় দেয় ,তাদের কাছে বিসর্জিত প্রতিমা গাছের নিচে বিভৎস্য ভাবে পড়ে থাকা আর মন্দিরের দেবতার মাথা ভেঙে দেওয়া প্রায় সমর্থক।হিন্দুরা পূজা শেষে প্রতিমা জঙ্গলে বা জলে ফেলে দেয় আর অহিন্দুরা মন্দিরে থাকতেই সেই উদ্যোগ আগে থেকে ই নিতে চায়। পার্থক্য হলো - হিন্দু দেবোপাসক মনে করে দেবতার প্রাণ পুজোর শেষে আর থাকেনা আর অহিন্দুরা মনে করে প্রতিমার প্রাণ ই থাকেনা তার আবার পূজা কি করে হয়। এভাবে দেবতার প্রতিমা বিসর্জন অহিন্দুদের অশ্রদ্ধা বাড়িয়ে দেবার ই একটা উপাদান।
কার ভগবান বড় ?
প্রতিদিন আমরা প্রচুর বই পড়তে পারি ,অনেক সংস্কৃত শ্লোক মহা পন্ডিতের মতো উদ্ধৃতি দিতে পারি , সব পৌরাণিক ইতিহাস মুখস্ত ,দিনে দিনে আমার সাথে কেউ তর্ক করে পারছে না কিন্তু তাতেও আমি সার্থক নোই যদি কিনা দিনে দিনে সেই সব কার্যাবলী তে আমার ভক্তি বৃদ্ধি না হয়। একবছর আগে আমার যে ভক্তি ছিল আজ যদি তার থেকে বেশি না হয় তাহলে বুঝুন ওই এক বছর আমার পান্ডিত্য বৃথা। শ্রী চৈতন্যদেব একসময় তর্ক ছেড়ে দিয়েছিলেন ,তাঁর পান্ডিত্যের কাছে কেউ ঠাঁই পেতো না ,কিন্তু শেষে তিনি নিজে কাঁদিয়ে আমাদের কাঁদালেন
নির্লজ্জের মতো
মন চঞ্চল রেখে কাউকে উপাসনা বা পূজা হয় না এবং খাবার ,বা নৈবেদ্য বা প্রসাদ নিবেদন করা টাও অপরাধ কারণ সেটা মন থেকে হয় না ,আর ওই রকম খাবার গ্রহণ করা টা অপরাধ . আর সেই সব কোড অনুসারে এ বলা যায় ঈশ্বর যদি শোকার্ত মানুষের পূজা গ্রহণে অস্বীকার করে তবে একজন মানুষ ই বা কিভাবে পাত পেরে,কব্জি ডুবিয়ে অন্ন গিলতে পারে ? হিন্দু ধর্মের কোড অনুসারে ই তো এটা চলে না।যেখানে শোকার্ত মানুষের পূজা ঈশ্বর গ্রহণ করতে চায় না আর সেখানে আমরা নির্লজ্জের মতো শ্ৰাদ্ধ খেয়ে আসি কেন ? আমরা যাদের খাবার খাচ্ছি আর তারা সকলে শোকে আকুল ,এর থেকে তাদের কে আর নিষ্ঠুর পরিহাস কিভাবে করা যায় ?
দুটি ধর্ম
ইসলামিক কবিগণ তাদের ধর্মের গৌরব নিয়ে সাহিত্য করেছেন এদিকে হিন্দু কবিগণ তাদের উপাস্য কে উপহাস করে সাহিত্যের শিলান্যাস করলেন আর এখনো এখনো হিন্দু ধর্ম নিয়ে চলছে এসব শিল্পের নাম করে যৌন সুর সুরির নাচুনি। সেই ট্রেন্ড থেকে এগুলো হিন্দুদের ট্রেডিশন হয়ে গেছে , এখন থিম পূজা করতে সবাই অভ্যস্ত। মায়ের চুল নিয়ে ,হাত নিয়ে, বস্ত্র নিয়ে , বক্ষ নিয়ে ,স্তন নিয়ে শিল্প চর্চা হয় ,বক্ষের ওপর স্ফিত ওটা কি সেটা উন্মুক্ত করে ভালো ভাবে যাতে দেখা যায় ,সেই রকম থিম এ পূজা হয় এখন।এরকম পূজার ভক্ত গণ ধিক্কার নাকি ধন্যবাদ পাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
দেবতা দিয়ে যৌনতা
খাজুরাহো তে নিপুন ভাবে মা বাবার মৌথুন কে উপস্থাপিত করার মাধ্যমে এখানে শিল্পীর নৌপুণ্যের প্রকাশ পেয়েছে যাকে Skill বলে ,Practice Make a Man Perfect , কিন্তু সে কিসে Perfect সেটা দেখা দরকার , Skill এর সাথে Sense না হলে সেই স্কিল তো জগৎ ধংসকারী ও হতে পারে ,খাজুরাহো তে শিল্পীর স্কিল দেখা গেছে কিন্তু সেন্স নেই , মা বাবা কে দিয়ে পর্ন গ্রাফি করলে কেমন হয় সেটাই খাজুরাহো এর উপস্থাপনা ,যেটা বাস্তবিক ভাবে মনোবিকার,না মানবাধিকার সেটা প্রশ্নের সম্মুখে। ,খাজুরাহো তে শিল্পের নৈপুণ্য দেখেছি বলে তার ভাব বা সেন্স নিয়ে সমালোচনা করবার অবকাশ রয়েছে । দুনিয়া তে বহু শিল্পী কে পাগল বা মনোরোগী বলে বিচার্য হয়েছে তবে শিল্পী তার ব্রেন থেকে যে আউট পুট দেবে সেটাই কি শিরো ধার্য ?
ভগবান কখন দেবতা ?
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ সংঘটিত হতো ই না যদি ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে সবাই ভগবান বলে জানতো তবে শুধু জানলেই হয়না তাকে তো যাচতে হবে , একজন বদ্ধ জীবের কাছে বা কামুকের কাছে শ্রীকৃষ্ণ ভগবান হলেও তার উদ্ধার হয়না কারণ সে তো পরম বস্তু চায় না। অনাহুত ভগবান বদ্ধ জীবের কাছে দেবতা স্বরূপ ও না কিন্তু আর একজন মুক্তি কামির কাছে সর্পিল মনসা দেবীও ব্রাহ্মময় বা ভাগবতময় হয়ে যায়।
শকুনের দৃষ্টি
আজ ও দুর্গার শাড়ি ছোট করে ,স্তনের অঞ্চল সরিয়ে থিম পুজো করা হয় তবে এটা ব্রাম্মনের চক্রান্ত নয় এটা আধুনিক শিক্ষিত মানুষের মার্জিত রুচি ,জন্ম যার যেখানে হোক তার বাণী ,কর্ম ,দর্শন সেটা যদি মানুষের কল্যাণ করে তবে তাই গ্রহণ যোগ্য ,যা মানুষের মঙ্গল করে তাই ধর্ম ,কে কার পেটে জন্মালো ,কৃষ্ণ বা মহম্মদের কয়টি বিয়ে তার থেকে বড় কথা তিনি বা তারা মানুষের কল্যাণের জন্য কি করেছেন বা কি আমাদের ভাবিয়েছেন ,সেটাই ধর্ম ,আপানার মাকে নিয়ে আমি একটা নগ্ন ভাস্কর্য বানিয়ে দিয়ে কিছু উদ্ভট গল্প লিখে গেলে ই আপনার মা নোংরা হয়ে যাবে নাকি ? আর আমার সেই বিকৃত নগ্ন ভাস্কর্য কে রেফারেন্স হিসেবে কেউ মান্যতা দিলেও আপনি কি আপনার মায়ের থেকে সন্তানত্ব অনুভূতি বিলোপ করে দেবেন ? প্রাচীন যুগ থেকে দূর্গা মানে নারী শক্তি বা মাতৃ শক্তি কে নোংরা বা পতিতা বানানোর কাজে হাত দিয়েছিলেন যারা তবে তারা আজ নেই কিন্তু তার কিছু উত্তর সুরি এখনো আছে
মাতৃরূপিণী নয়
কোনো ঋণাত্মক শক্তির উপস্থিতির পর্যায়ে কেউ কারো মা বাবা হবার অবস্থায় থাকে না আর হতে ও পারে না।যেমন কোনো মা পাগল হয়ে গেলে তার থেকে তার শিশু কে সরিয়ে রাখা হয় আর এখানে ও তো তাই যে মায়ের পূজা করতে গেলে যদি একটু ভুল হয়ে যায় আর তাতে আমি যদি ধংস হয়ে যাই তবে পরম করুণাময়ী বা পরম দয়াময়ীর মহত্ত থাকেনা। এখানে বলা যায় , বোমা বাধা আর মায়ের পূজা করা একই জিনিস ,বোমা বাঁধতে গেলে ভুল হলে ক্ষমা নেই ,অবধারিত মৃত্যু। আর আমার জগদীশ্বরী পরম দয়ামীর মায়ের বেলাতে ও তাই ? মাতৃত্ব কে এতো ছোট করা সত্যি হাস্যকর। পশু বলি বা মানুষ বলি হচ্ছে ঋণাত্মক শক্তির আর এক বীভৎস উৎকর্ষতা অর্থাৎ যেটা হিংসার অন্তিম রূপ বলা যায় , কিন্তু প্রাচীন কাল থেকে ই চলে আসছে এসব ট্রেডিশন ,অবশ্য পূজা, সাধনা বা আধ্যাত্মিকতার সাথে এর সম্পর্ক সম্পূর্ণ বিপরীত অথচ আজ ও মানুষেরা প্রাচীন সংস্কৃত শাস্ত্রের রেফারেন্স কে সম্মান দিয়ে এখন ও পশু বলি দেওয়া হয় অনেক বিখ্যাত মন্দিরে ,কোনো কোনো মনোরোগী তো স্বপ্নে ভগবানের দেখা পেয়ে মানুষ ও বলি দেয় , কেউ কেউ কোনো বলির সুযোগ না পেয়ে চাল কুমড়া বলি দেয়, অর্থাৎ হিংসার ভাগশেষ কিন্তু রয়ে ই যাচ্ছে।
SUBSCRIBE
find us on facebook
ARTICLES
ABOUT
quotes
জটিল ভাবনা ছাড়া সহজে কিভাবে মৃত্যু শোক কে হালকা করতে পারি ?
comments
এরকম গল্প যে কেউ লিখতে পারে , পৌরাণিক শাস্ত্র কেউ একজন লিখেছেন ,আর সেই লেখক নিশ্চই কাউকে হিরো বা সাইড হিরো বানাবেন তাই তার লেখা কে প্রমান হিসেবে ধরবো না , আপনার উপলব্ধি ,আপনার দর্শন ই আপনাকে বা আপনার ভগবান কে বড় করে , যে ভক্ত যত কোমল তার ভগবান তত বড় http://abhaykantho.com/single-rs.php?slno=44
by anirvan bala
sir, manuser jonmno-punorjonmo nia kichu bolen.
by suvam
ধ্যানে সিদ্ধ হতে গেলে চোখ পুরো মেলে দিলে হবে না ,চোখ কে কিছুটা বন্ধ করে রাখা ই লাগে ,তদ্রুপ আমি যদি সব কিছু দেখতে যাই তাহলে আমার লক্ষ্যে দৃষ্টি দিতে পারবো না ,আমি কত টাকা ইনকাম করি সেটা দেখার নয় ,আমি কত কম খরচ করি সেটাই দেখার , ধন হচ্ছে পার্থিব সম্পত্তি ,তাই এটাকে অর্জন করতে গেলে সাময়িক ভাবে পার্থিব অবগুন গুলোর ধারক যেমন- মিতব্যয়ী ,আত্মকেন্দ্রিক ,স্বার্থপর , সহানুভূতি হীন ,কৃপণ ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করতে হবে ,আর এই দক্ষ অভিনেতা ই পারে ধনী হতে , বেশি উপার্জন কারী ব্যক্তি ই ধনী হবে সেটা নিশ্চিত নয়। Liablities এর বিপরীত হচ্ছে Properties অর্থাৎ দায় এর বিপরীত হচ্ছে সম্পত্তি ,যার যত দায় দায়িত্ব বেশি তার সম্পত্তি ততই কম হবে , দেখা যায় পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে যারা ধনী সেও যদি বেশি দায়ের মধ্যে থাকে তার পৈতৃক জমিদারি নিঃশেষ হয়ে যায়।
by admin admin
Why do we use it? It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using Lorem Ipsum is that it has a more-or-less normal distribution of letters, as opposed to using 'Content here, content here', making it look like readable English.
by aman
Why do we use it? It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using Lorem Ipsum is that it has a more-or-less normal distribution of letters, as opposed to using 'Content here, content here', making it look like readable English.
by Aman
Why do we use it? It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using Lorem Ipsum is that it has a more-or-less normal distribution of letters, as opposed to using 'Content here, content here', making it look like readable English.
by Howrah