বাঙালির রাজনীতি

এককালে ইংরেজদের শোষিত ভারতের ও যে দর্শন বা জ্ঞান আছে সেটা বিশ্বের দরবারে প্রথম যিনি বুঝিয়েছিলেন তিনি ছিলেন এক জন বাঙালি - স্বামী বিবেকানন্দ। ভারত ও যে নোবেল পুরস্কার পেতে পারে সেটা প্রথম দেখিয়েছিলেন এক বাঙালি কবি -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ইংরেজদের খুব পছন্দ হয়েছিল -সুজলা সুফলা এই রূপসী এই বাঙালির কলকাতা কে ,তাই ইংরেজরা এখানেই নগরী করতে চেয়েছিলো , কিন্তু বাঙালির প্রভাবে তা আর পূরণ হয়ে উঠলোনা সাহেবদের। মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে সংসার করতে পারলেও শেষ পর্যন্ত ইংরেজরা এক বাঙালি- সুভাষ কে নিয়ে চলতে পারেনি নেতাজি সুভাষ এর মতো আরও অনেক বাঙালি পরাধীন ভারতকে আত্ম ত্যাগ ছাড়া আরও অনেক কিছু শিখিয়েছে - রাজনীতি , কূটনীতি ,যুদ্ধ এসব বাঙালির থেকে বহুলাংশে প্রাপ্ত হয়েছে ভারতের , কিন্তু স্বাধীনতার পরে সেই বাঙালিরাই রাজনীতির শিকার , রাষ্ট্রে ও রাজনীতিতে বাঙালি ও বাংলার ভূমিকা অগ্রগণ্য কিন্তু তাঁরা অবহেলিত , বাঙালির সরলতা ও উদারতার সাইড ইফেক্ট হিসেবে ই আমরা আজ অবহেলিত। ক্ষুদিরাম বা নেতাজির মাতৃভাষা ভারতে কতখানি সম্মানিত সেটা আমরা জানি , এদিকে হিন্দিতে বাঙালিরা গলা ফাটিয়ে গান গেয়ে যাচ্ছে ওদিকে বাংলাভাষা বাংলার কোলে বসেই কেঁদে যাচ্ছে , রাষ্ট্র রাজনীতিতে বাংলা ও বাঙালির লাঞ্ছনা অব্যাহত , অগণিত বাঙালিরা ধ্রুব তারা হলেও তাঁরা আজ মেঘে ঢাকা তারা। বাঙালিরা শুধু ভোজন রাসিক নয় তাঁরা ইংরেজদের কাঁপিয়ে দিতে পারে কিন্তু দিল্লির মসনদে বসবার আগ্রহ তেমন দেখা যায়নি কিন্তু এখন থেকে এতো সরল রেখাতে না হেটে একটু বক্র রেখাতে হাঁটা দরকার, তাই বাঙালিরা রাজনীতির শিকার না হয়ে রাজনীতি করুন। বাঙালির আয়নাতে প্রতিবিম্বিত হোক প্রকৃত বাঙালিয়ানা।
suvam
sir, manuser jonmno-punorjonmo nia kichu bolen.