অসহায় দূর্গা - দূর্গার দুর্গতি !

পৃথিবীতে জীবের মঙ্গলের জন্য ভগবান অবর্তীর্ণ কেন হন ? তাঁর কিসের এতো দায় ? পরমাত্মার অংশ হলো আত্মা ,তাহলে সকল আত্মা নিয়ে তবে ই এক পূর্ণ পরমাত্মা। নিজের অংশ বলে ভগবান কে মানুষের কাছে আসতে হয় আর তখন সেই শক্তি ময় ,গুণময় ,দয়াময় ভগবান কে আরাধনা করি। যুক্তি অনুসারে সর্ব জীবে তাঁর অবস্থান বা সর্ব জীব তাঁর মধ্যে অবস্থিত কিন্তু আমরা পূজা করি ,আরাধনা করি গুন্ কে , রূপ কে , মহত্ব কে ,শক্তি কে কেননা এগুলোর সাথে মেলবন্ধন না হলে নিজেকে মুক্ত বা উদ্ধার করা যায় না ,আমরা তো মুক্তি চাই তাইনা ? নাকি যন্ত্রনা চাই ? মুক্তি চাই , আর তাই আমরা এই গুন্ গুলোর জাগৃতি বা আবির্ভূতি কে বন্দনা করি। তাছাড়া কোনো সন্তান কি চাইবে আমি পরিযায়ী শ্রমিকের মতো পা ফাটিয়ে রক্ত বের করছি বলে সেই রক্তের আলতা মাকে পরিয়ে দেখবো কেমন হয় ? কোনো হীনতা ,দীনতা কে বন্দনা করা যায়না ,তাকে দয়া করা যায়। নিজের মায়ের মহত্ব কে মলিন না করে তাকে গৌরবান্বিত করা উচিত। একবছর পর অপেক্ষা করে মায়ের এরূপ দেখানো উদ্দেশ্য প্রনোদিত। । এটিএম এ টাকা তুলতে বৃদ্ধা মাকে লাইনে দাঁড়িয়ে তাকে দিয়ে টাকা তুলে এনে দেখানো যেমন উদ্দেশ্য প্রনোদিত, তেমনি দূর্গা মাকে দিয়ে এই পরিযায়ী শ্রমিকের বেশে পৃথিবীতে আগমন ভাবনা বা কল্পনা উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আর অন্যদিকে দেখুন এই হলো আমাদের হিন্দু ঐক্য , আমাদের ধর্মের মধ্যে নীতিগত ঐক্য বা কোনো সংবিধান নেই তাই যে যার মতো করে বলে যেতে পারি , নিজেদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি ছাড়া আর কিছুই করতে পারি না । ওইদিকে আমাদের প্রতিবেশী ধর্মের দিকে তাকান দেখুন একটা বিকৃত বা বে-কেতাব কাজ করা হলে সবাই একসাথে তা বয়কট করে আর আমরা এরকম হলে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করি। ধর্মনীতি সব থেকে বড় আবেগ তাই তা দিয়ে যত সহজে ঐক্য গড়া যায় আবার তত সহজেই অনৈক্য সৃষ্টি করা যায়। নিজের মাকে দাসী রূপে দেখবেন নাকি রাজ্ রানী রূপে দেখবেন কিংবা নির্যাতিতা রূপে দেখবেন সেটা আপনার ব্যাপার কিন্তু যেকোনো রূপেই মায়ের শক্তি ও মহত্বের গৌরব প্রকাশ হতে পারেনা। আর যা ( আইডল বা প্রতিমা বা আদর্শ ) গৌরবময় নয় তা অনুসরণীয় ও প্রত্যাশিত নয়। সন্তান বিপথ গামী হতে পারে কিন্তু সন্তানের মা বিপথ গামী হতে পারেনা , সন্তান দুর্বলতা কে পোষণ করতে পারে কিন্তু তাঁর মা তা করতে পারেনা , নিজে পঙ্কে থেকে মাকে পঙ্কজে আসন দিন , নিজে কাদায় আছেন বলে মাকে কাদায় নামাবেন ? সনাতন দর্শনে নাকি সব সম্ভব কিন্তু মায়ের গৌরব হানি করা ও কি সম্ভব ? দূর্গা সহায় কথাটিকে কি ঘুরিয়ে অসহায় দূর্গা বলে ভাবা যায় ? উদার সনাতন ধর্মের ভগবান কে তাহলে শক্তিহীন , উপেক্ষিত বলে ভাবার অবকাশ রয়েছে ? -- ( This Article is written on this fact : The goddess of hindu is totally customised by humans. So that , it also can be reflected on political trends !. For this, Sometimes to be noble it is being notorious . )
leave a reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *